মহা পরাক্রমী রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত করার অভিপ্রায় নিয়ে ভগবান রামচন্দ্র দেবী দুর্গাকে এই দিন বোধন করে পুজো করেন। পুরাণে এই বিষয় নিয়ে একটি কাহিনিও রয়েছে।

রাবণের সঙ্গে যুদ্ধের পূর্বে দুর্গার বোধন করেছিলেন দশরথ পুত্র রামচন্দ্র। এরপর তিনি দেবী দশভূজার আরাধনা করে শক্তি ও সৌভাগ্যের প্রার্থনা করেন এই দেবীপক্ষে।

এই বোধন আবার অকাল বোধন হিসেবে খ্যাত। হিন্দু শাস্ত্র মতে সূর্যের উত্তরায়ন দেবতাদের সকাল। উত্তরায়নের এই ছয়মাসকে দেবতাদের এক দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। সকালে সমস্ত দেব-দেবীর পুজো করা হয়। আবার দক্ষিণায়ন শুরু হলে ছয় মাসের জন্য নিদ্রা যান সমস্ত দেব-দেবী। এই দক্ষিণায়ন দেবতাদের রাত। রাতে দেব-দেবীর পুজো করা হয় না।

কিন্তু দক্ষিণায়নের ছয় মাসের মধ্যেই দুর্গাপুজো হয় বলে বোধনের মাধ্যমে আগে দেবী দুর্গাকে ঘুম থেকে তোলা হয়। অকালে দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই একে “অকাল বোধন” বলা হয়ে থাকে।

‘বোধন’ শব্দটির অর্থ জাগ্রত করা বা আহবান করা। ষষ্ঠীর সকালেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তার পর দশভূজার সামনে প্রার্থনা করা হয় যে, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত গোটা পূজা পর্বে যেন কোনও বিঘ্ন না ঘটে। দেবী দুর্গার এই আগমনকে ধর্ম অর্থ কাম ও মোক্ষ লাভের শুভ সূচনা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

সকলের দুর্গোৎসব হয়ে উঠুক আরো আনন্দমুখর, এই প্রার্থনা করছি।