আজ আমরা এমন এক জায়গার সম্পর্কে জানতে পারবো , যা আমাদের দিতে পারে কম খরচে দারুন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। পূর্ব ভারতের ভ্রমণের জায়গা গুলির মধ্যে ভিতরকণিকা অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান।

ওড়িশায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত অপূর্ব সুন্দর এক পর্যটন কেন্দ্র ‘ভিতরকণিকা’৷ বৈতরণী, ব্রাহ্মণী ও ধামরা নদীর মোহনায় ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ঘেরা ভিতরকণিকা ন্যাশনাল পার্ক ও ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ারি আপনার মনকে দিতে পারে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
কিছু দিনের জন্য যদি আপনার মন ছুটি নিয়ে হারিয়ে যেতে চায় কোন অজানা স্বপ্নের রাজ্যে, তাহলে ভিতরকণিকা-র মতো জায়গায় ঘুরে আসতেই পারেন।
ভিতরকণিকা গেলে আপনি দেখতে পাবেন প্রায় ৬০ ধরনের ছোট, বড় ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ৷ দেখা মেলে সাদা কুমির, হরিণ, ময়াল সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, বুনো শুয়োর, হায়না, বানর ও পরিযায়ী পাখি সহ শতাধিক প্রজাতির পাখি৷ দেখার জন্য কষ্ট করে উঁকি-ঝুঁকি দিতে হবে না৷ শুধু নিঃশব্দে অপেক্ষা করতে হবে৷

গ্রীষ্ম, বর্ষা এড়িয়ে সকালে বৈতরণী নদীর পাড়ে চাঁদবালি থেকে যন্ত্রচালিত নৌকায় চলুন ‘মিনি আমাজান’ অর্থাত্‍ ভিতরকণিকার উদ্দেশ্যে৷ দু’পাশের ‘চলমান দৃশ্য’ দেখতে দেখতে চোখ জুড়িয়ে যাবে৷ তারপর নৌকা যখন ‘খোলা ক্রিক’ বা খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করবে তখন ভয়ঙ্কর সুন্দরের মুখোমুখি হবেন৷

ভিতরকণিকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এক কথায় অনবদ্য৷ এক পাশে সমুদ্র সৈকত অন্য পাশে নদী ও খাঁড়ির জলে ঘেরা ঘন জঙ্গল৷ সেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, অথচ জোয়ার-ভাঁটায় রূপ বদলে যায়৷ এর পাড়েই অবস্থিত ফরেস্ট অফিস থেকে ভ্রমণের অনুমতি নিতে হবে৷ 

 সংকীর্ণ জলপথে জঙ্গলের পাশে পাশে যখন চলবেন, তখন সহজেই নজরে পড়বে পাড়ে বিশ্রামরত কুমির, জলের ধারে হরিণের সচকিত চাহনি৷ কান আসবে বিভিন্ন পাখ-পাখালির ডাক৷ আর বসন্তকালে জঙ্গলের নাম না জানা ফুলের গন্ধে মন মেতে উঠবে৷ শান্ত সবুজে মোড়া দ্বীপের ছোট-বড় গাছের ফাঁক দিয়ে নানা দৃশ্য দেখতে দেখতে পৌঁছে যাবেন জঙ্গলের কেন্দ্র বিন্দু ‘ডাঙ্গমল’ বনবাংলোয়৷

এখানে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতাই আলাদা৷ অন্ধকার গাঢ় হতেই শুরু হবে জীব-জন্ত্ত, কীট-পতঙ্গের ডাকা-ডাকি ও তাদের আনাগোনা৷ রাত জাগা পাখির সঙ্গে আপনাকেও কিছুটা সময় কাটাতে হবে বনবাংলোর ঘেরা বারান্দায়৷ হঠাত্‍ হঠাত্‍ এমন সব রোমাঞ্চকর মুহূর্তের সাক্ষী হবেন, যা স্মৃতিপটে দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকবে৷

ফেরার পথে কণিকা রাজ বাড়ি, শিয়ারিয়া গ্রাম খোলা আকাশের নীচে কালো পাথরের ‘খরা খাই’ দেবী মূর্তি দেখে নেওয়া যায়৷ জেনে রাখা ভালো যে, আজও এখানে ঘরের দরজায় কপাট নেই৷ সত্যিই কণিকা রাজ্য বৈচিত্রময় এবং তার ভিতর ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যে ভরা৷

কীভাবে যাবেন 

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ভদ্রক স্টেশনে নেমে সড়ক পথে ৫৫ কিলোমিটার দূরে বৈতরণী নদীর পাড়ে চাঁদবালি৷ এখান থেকেই জল পথে ভিতরকণিকায় প্রবেশ করতে হয়৷

কোথায় থাকবেন
 চাঁদবালিতে ওটিডিসি-র পান্থনিবাস ও অন্যান্য হোটেল৷

আরো বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন

𝑪𝒐𝒏𝒕𝒂𝒄𝒕.. 9674559795/9748740212
Website – www.floretvacation.in
E- mail- enquiry@actovision